দ্রুত ওজন কমাতে গেলে কেন কমে যায় মাংসপেশি, জানুন প্রতিরোধের উপায়

দ্রুত ওজন কমাতে গেলে কেন কমে যায় মাংসপেশি, জানুন প্রতিরোধের উপায়

‘মাউনজারো ফেস’, ‘উইগোভি বাট’, ‘ওজেমপিক বডি’—এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয় সেই মানুষের চেহারা বা গড়ন বোঝাতে, যারা খুব দ্রুত ওজন কমিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে পেশির সুর বা মাংসপেশির ভরও কমে গেছে।

ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত দেখা যায়, তবে স্বল্প সময়ে যেকোনো পদ্ধতিতে বেশি ওজন কমালে একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে—চেহারা ছোট হলেও দেখতে বেশি টোনড লাগবে বা শরীর বেশি ফিট মনে হবে। এটি অনেক সময় সত্যি হয় না।

স্বাভাবিকভাবে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামে আমাদের ওজন কমলে তার ২০ থেকে ৪০ শতাংশই আসে মাংসপেশি থেকে।

এটি অনেক পার্থক্যপূর্ণ ফল, কারণ তা নির্ভর করে আমরা কী খাচ্ছি এবং কিভাবে ব্যায়াম করছি তার ওপর।

 

অনেক গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর ওষুধ অন্য পদ্ধতির তুলনায় বেশি মাংসপেশি কমায় না। ২০০ জন টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীর ওপর করা এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা ইনজেকশনের মাধ্যমে ওজন কমিয়েছেন, তাদের পেশি কমেছে প্রায় একই হারে, যেভাবে সাধারণ ডায়েট-ব্যায়ামে কমে।
লন্ডনের নেক্সাস ক্লাবের পারফরম্যান্স কোচ ডালটন ওয়ং বলেন, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে শরীরের মেদ কমাতে গিয়ে প্রায় পুরো মাংসপেশিই ধরে রাখা সম্ভব।

তার মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেশি তৈরি কঠিন হয়ে যায়। তাই বয়স্ক পর্যায় থেকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা চালিয়ে যেতে মাংসপেশি ধরে রাখা খুবই জরুরি।

কেন মাংসপেশি কমে

ওজন কমাতে গেলে শরীরকে রাখতে হয় ক্যালরি ঘাটতিতে, অর্থাৎ খরচের তুলনায় কম ক্যালরি খেতে হয়। তখন শরীর জ্বালানি হিসেবে সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করে।প্রথমে চর্বি, এরপর কিছুটা পেশিও ক্ষয় হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে মাংসপেশি হলো শরীরের প্রাকৃতিক ফ্যাট বার্নিং ইঞ্জিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *